Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
বিস্তারিত


   প্রতিশ্রুতিশীল, মেধাবী, সাহসী ও শৃজনশীল  জনসংখ্যার এ বিরাট অংশকে  উৎপাদনমূখী ও দক্ষ করে গড়ে তুলে উন্নয়নের মূল ধারায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে চলেছে ।  দেশ গঠনে যুব সমাজের দ্বায়িত্ববোধ জাগ্রত করা , গঠন মূলক মানসিকতা সৃষ্টি ও সুশৃংখল কর্মীবাহিনী  হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক  উন্নয়ন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে  যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শুরু থেকেই বিভিন্ন বাস্তবমূখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে ।
১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নামকরণ করা হয় । ১৯৮১ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের  কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর  সৃষ্টি করা হয় । সে ধারাবাহিকতায় তখনি কুমিল্লায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। বর্তমানে কুমিল্লা শহরের রাম-মালা রোড ঠাকুর পাড়া অফিসটির অবস্থান।

 

  •  
ছবি
label.column.field_office_cism

 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যে সব সেবা যে ভাবে প্রদান করে তার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

১।প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সেবা সমূহ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাধারণত ২ ধরণের প্রশিক্ষন সেবা দিয়ে থাকে।
ক) প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন ।
খ) অপ্রাতিষানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন ।

 প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ট্রেড সমুহঃ

ট্রেডের নামঃ
১।গবাদিপশু,হাঁস-মুরগী পালন উহাদের প্রাথমিক চিগিৎসা,মৎস চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স।

মেয়াদঃ ২ মাস ১৫ দিন।
প্রশিক্ষণ শুরুর সময় ঃজুলাই , অক্টোবর ,জানুয়ারী ও এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ ।
আসন সংখ্যা -৬০ জন ( আবাসিক )।
শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
কোর্স ফি -১০০ টাকা।
প্রতি মাসে প্রশিক্ষণার্থীদের ১২০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়।

২।মডার্ণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশনঃ

  • মেয়াদ-৬ মাস।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময়- জানুয়ারী ও জুলাই মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা-৩০ জন। ( অনাবাসিক )।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা -এইস। এস সি পাশ।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

পোষাক তৈরী ( মহিলাদের জন্য ।

  • মেয়াদ – ৪ মাস
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময়- জুলাই ও জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা- ৪০ জন। ( অনাবাসিক )।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০ টাকা।

মৎস চাষ

  • মেয়াদ -১ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ২০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ১০০ টাকা।

৫।কম্পিউটার ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – জানুয়ারী ও জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৪০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – এইস এস সি শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ১০০০ টাকা।

৬।রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

৭।ইলেক্ট্রনিক্স ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

৮।ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড হাউস ওয়ারিং ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

প্রশিক্ষণ সমুহ  গ্রহণে আগ্রহী কুমিল্লা জেলার বেকার যুব /যুব মহিলা গন  যোগাযোগ করবেন।

উপ-পরিচালক
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
রাম মালা রোড
ঠাকুর পাড়া
কুমিল্লা।
টেলিফোন; ০৮১৬৫৫৭৯ ।  shaikh.shabib@yahoo.com

অথবা

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ,কুমিল্লা জেলার সকল উপজেলা।

   অপ্রাতিষ্ঠানিক ( ভ্রাম্যমান ) ট্রেড সমূহঃ

সাধারণত উপজেলা পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক বা ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা যুব সংগঠন / ক্লাবে এ প্রশিক্ষণের ভেন্যু হেসেবে ব্যাবহার করা হয়।যেহেতু প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয় সেহেতু বেকার যুবদের এ প্রশিক্ষণ গ্রহন খরচ ও সময় কম হয়। অপ্রাতিষানিক প্রশিক্ষণ গ্রহনে বেকার যুবদের কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ফি প্রদান করতে হয় না ।যে সমস্ত ট্রেডে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তা নিম্নরূপঃ

  • পারিবারিক হাঁস মুরগি পালন
  • গরু মোটা-তাজা করন ।
  • গাভি পালন ।
  • বসত বাড়ীতে সব্জী চাষ ।
  • নার্সারি বনায়ন ।
  • ছাগল পালন ।
  • মৎস চাষ ।
  • পোষাক তৈরি ।
  • এবং স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে ট্রড নির্ধারন করে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ।যোগাযোগের ঠিকানাঃ
  • উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় , সংশ্লিষ্ট উপজেলা, কুমিল্লা ।

                                           ঋন কর্মসূচি

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাধারণত দুই  ধরণের ঋণ দিয়ে থাকে ।

১) ব্যক্তি ঋণ।
২) গ্রুপ ঋণ

ব্যক্তি ঋন/যুব ঋন ঃ- শুধু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষন গ্রহনের পর লাভ জনক প্রকল্প গ্রহণকারীকে এ ঋণ প্রদান করা হয় । বযক্তি শ্রেণী ঋন আবার দুই প্রকার ।
1) প্রাতিষ্ঠানিক ঃ প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর অনুকূলে যে ঋণ প্রদান করা হয় এবং যার পরিমান  সর্বোচ্চ ৫০০০০/হাজার টাকা ।

2) অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন গ্রহণকারি যুবদের প্রকল্পের কলেবর বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ ২৫০০০/পঁচিস হাজার টাকা পর্যন্ত এ শ্রেণীর আওতায় ঋণ প্রদান করা হয় ।

সফল ভাবে ঋন পরিশোধ কারীকে ৩ বার ঋন প্রদান করা হয় ।ঋণের সার্ভিস চার্জের পরিমাণ ১০% যা ক্রমহ্রাসমান হারে ৫% এ নির্ধারিত হয় ।

যোগাযোগের ঠিকানা ঃ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় , সংশ্লিষ্ট উপজেলা , কুমিল্লা ।

গ্রুপ ঋন

পরিবারে সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করে এ প্রকারের ঋন দেয়া হয়। এ ঋণ পরিবার ভিত্তিক  প্রদান করা হয় । পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা  ও মুল্যবোধ  সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে পারিবারিক সম্প্রিতি , শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে  পরিবারকে উন্নয়নের একক হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে  স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিই এ প্রকার ঋণ কর্মসূচির মুল লক্ষ্য ।
কর্মসূচির আওতায় ৫ জন সদস্য নিয়ে ১ট গ্রুপ এবং ৮-১০ টি গ্রুপ নিয়ে ১ টি কেন্দ্র গঠন করা হয়।প্রতি সদস্য ১ম দফায় ৮০০০/ টাকা করে ঋন পায় ৩ সপ্তাহ গ্রেস পিরিয়ড বাদে ৫০ সপ্তাহে এ ঋণ পরিশোধ করতে হয়।পরিশোধের পর ধারাবাহিক ভাবে ৫ ম দফা পর্যন্ত ঋন দেয়া হয় । প্রতি দফায় ঋণের পরিমান ২০০০/ টাকা করতে বৃদ্ধি পায়  অর্থাৎ ৫ম দফায় এক জন ঋন গ্রহিতা ১৬০০০/ টাকা ঋন পায়।যদি ১ টি পরিবারের ৫ জন সদস্য থাকে তবে সে পরিবার ৫ম দফায় ৮০০০০/ টাকা ঋন পায়। সার্ভিস চার্জ ৫% ।
৫ম দফা পরিশোধের পর ১ টি গ্রুপের ১ জন সদস্যকে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদান করা হয়।যার পরিমান ৩০০০০/ টাকা -৫০০০০/ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

যোগাযোগের ঠিকানা ঃ লাকসাম , হোম্ননা , দেবিদ্বার ও মুরাদনগর  উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

যুব সংগঠন তালিকা ভূক্তিকরণঃ

বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন সমূহকে বিভিন্ন অর্মসূচির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্তকরণের দ্বায়িত্ব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পালন করে থাকে।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন সহযোগী  হিসেবে যুব সংগঠন তালিকাভূক্তি করে।

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালকের কার্যালয়
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , কুমিল্লা।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

যুব সংগঠনকে অনুদান প্রদানঃ

যুব সংগঠন সমূহকে দেশ গঠন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহায়তা  প্রদানের নিমিত্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক যুব কল্যাণ তহাবিল হতে প্রতি বছর অনুদান প্রদান করা হয় ।তা ছাড়া কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংগঠন সমূহকে অনুন্নয়ন খাত থেকেও অনুদান দেয়া হয়

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালকের কার্যালয়
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , কুমিল্লা।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

সার্ক ইয়ূথ এওয়ার্ডদক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যুবদের সৃজনশীল ও অনুকরণীয় যুব কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৭ সাল থেকে ” সার্ক ইয়ূথ এওয়ার্ড” স্কীম চালু করা হয় । বাংলাদেশে এ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- পরিচালকে ( বাস্তবায়ন ) প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

কমুনওয়েলথ ইয়ূথ এওয়ার্ড প্রাদান-

যুব উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান।সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন কর্মকান্ড, আদিবাসী যুবদের উন্নয়ন্মূলক কর্মকান্ড, যুব সংগঠনের মাধ্যমে প্রকল্প ভিত্তিক কমিউনিটি দেভেলপমেন্ট ও স্বনির্ভর কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশী যুব / যুব সংগঠনকে কমনোয়েলথ ইয়ূথ এওয়ার্দ প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- পরিচালকে ( বাস্তবায়ন ) প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

জাতীয় যুব পুরস্কার-

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন পূর্বক  আত্বকর্মসংস্থানে সফলতা অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে  এবং যাদের সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভুমিকা আছে  সে  সকল যুব /যুব মহিলা প্রকল্প গ্রহন  কারীকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয় ।তা ছাড়া যুব সংগঠক যারা যুব উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনন্য অবদান রাখে তাদের মধ্য থেকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালক
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

তথ্য প্রদান-

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার সেবা কর্মকান্ডের তথ্য  প্রদান করা হয়ে থাকে।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ সহকারী পরিচালক , কুমিল্লা জেলা কার্যালয়
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা , উপজেলা কার্যালয় ,কুমিল্লা সকল ।

বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে অভিযোগঃ

সুনির্দিষ্ট অভযোগ দাখিল করা যাবে।
মহাপরিচালক , যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ,১০৮ মতিঝিল বা/এ ঢাকা ।
অথবা

উপ-পরিচালক
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
রাম মালা  রোড ঠাকুর পাড়া ,কুমিল্লা।

 

সিটিজেন চার্টার

যুবদের আত্বকর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয় কর্তৃক জেলার কর্মপ্রত্যাশী বেকার যুবদের মুলতঃ উদবুদ্ধুকরণ, প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। এ সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি সহ আরো যে সকল সেবা প্রদান করা হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

 

 

সিটিজেন চার্টার

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কুমিল্লা কর্তৃক প্রদত্ত দেবা কার্যক্রমঃ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যে সব সেবা প্রদান করে থাকে তার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ

১। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সেবা সমূহ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাধারণত ২ ধরণের প্রশিক্ষন সেবা দিয়ে থাকে।
ক) প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন ।
খ) অপ্রাতিষানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন ।

 প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ট্রেড সমুহঃ

ট্রেডের নামঃ
১।গবাদিপশু,হাঁস-মুরগী পালন উহাদের প্রাথমিক চিগিৎসা,মৎস চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স।

  •      মেয়াদ ঃ ২ মাস ১৫ দিন।
  •       প্রশিক্ষণ শুরুর সময়  ঃজুলাই , অক্টোবর ,জানুয়ারী ও এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ ।
  •        আসন সংখ্যা -৬০ জন ( আবাসিক )।
  •        শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  •       কোর্স ফি -১০০ টাকা।
  •       প্রতি মাসে প্রশিক্ষণার্থীদের ১২০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়।

২।মডার্ণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশনঃ

  •   মেয়াদ-৬ মাস।
  •   প্রশিক্ষণ শুরুর সময়- জানুয়ারী ও জুলাই মাসের ১ তারিখ।
  •      আসন সংখ্যা-৩০ জন। ( অনাবাসিক )।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা -এইস। এস সি পাশ।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

পোষাক তৈরী ( মহিলাদের জন্য ।

  •   মেয়াদ – ৪ মাস
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময়- জুলাই ও জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা- ৪০ জন। ( অনাবাসিক )।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০ টাকা।

 মৎস চাষ

  • মেয়াদ -১ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ২০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ১০০ টাকা।

৫। কম্পিউটার ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – জানুয়ারী ও জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৪০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – এইস এস সি শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ১০০০ টাকা।

৬।রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

৭।ইলেক্ট্রনিক্স ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

৮। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড হাউস ওয়ারিং ।

  • মেয়াদ -৬ মাস ।
  • প্রশিক্ষণ শুরুর সময় – প্রতি জানুয়ারী – জুলাই  মাসের ১ তারিখ।
  • আসন সংখ্যা – ৩০ জন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা – ৮ম শ্রেণী পাস।
  • কোর্স ফি – ৫০০ টাকা।

প্রশিক্ষণ সমুহ  গ্রহণে আগ্রহী কুমিল্লা জেলার বেকার যুব /যুব মহিলা গন  যোগাযোগ করবেন।

উপ-পরিচালক
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
রাম মালা রোড
ঠাকুর পাড়া
কুমিল্লা।
টেলিফোন; ০৮১৬৫৫৭৯ । ই মেইল- shaikh.shabib@yahoo.com

অথবা

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ,কুমিল্লা জেলার সকল উপজেলা।

   অপ্রাতিষ্ঠানিক ( ভ্রাম্যমান ) ট্রেড সমূহঃ

সাধারণত উপজেলা পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক বা ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা যুব সংগঠন / ক্লাবে এ প্রশিক্ষণের ভেন্যু হেসেবে ব্যাবহার করা হয়।যেহেতু প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয় সেহেতু বেকার যুবদের এ প্রশিক্ষণ গ্রহন খরচ ও সময় কম হয়। অপ্রাতিষানিক প্রশিক্ষণ গ্রহনে বেকার যুবদের কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ফি প্রদান করতে হয় না ।যে সমস্ত ট্রেডে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় তা নিম্নরূপঃ

  • পারিবারিক হাঁস মুরগি পালন
  • গরু মোটা-তাজা করন ।
  • গাভি পালন ।
  • বসত বাড়ীতে সব্জী চাষ ।
  • নার্সারি বনায়ন ।
  • ছাগল পালন ।
  • মৎস চাষ ।
  • পোষাক তৈরি ।
  • এবং স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে ট্রড নির্ধারন করে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ।যোগাযোগের ঠিকানাঃ
  • উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় , সংশ্লিষ্ট উপজেলা, কুমিল্লা ।

                                              ঋন কর্মসূচি

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাধারণত দুই  ধরণের ঋণ দিয়ে থাকে ।

১) ব্যক্তি ঋণ।
২) গ্রুপ ঋণ

ব্যক্তি ঋন/যুব ঋন ঃ- শুধু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষন গ্রহনের পর লাভ জনক প্রকল্প গ্রহণকারীকে এ ঋণ প্রদান করা হয় । বযক্তি শ্রেণী ঋন আবার দুই প্রকার ।
1) প্রাতিষ্ঠানিক ঃ প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর অনুকূলে যে ঋণ প্রদান করা হয় এবং যার পরিমান  সর্বোচ্চ ৫০০০০/হাজার টাকা ।

2) অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষন গ্রহণকারি যুবদের প্রকল্পের কলেবর বৃদ্ধির জন্য সর্বোচ্চ ২৫০০০/পঁচিস হাজার টাকা পর্যন্ত এ শ্রেণীর আওতায় ঋণ প্রদান করা হয় ।

সফল ভাবে ঋন পরিশোধ কারীকে ৩ বার ঋন প্রদান করা হয় ।ঋণের সার্ভিস চার্জের পরিমাণ ১০% যা ক্রমহ্রাসমান হারে ৫% এ নির্ধারিত হয় ।

যোগাযোগের ঠিকানা ঃ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় , সংশ্লিষ্ট উপজেলা , কুমিল্লা ।

গ্রুপ ঋন

পরিবারে সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করে এ প্রকারের ঋন দেয়া হয়। এ ঋণ পরিবার ভিত্তিক  প্রদান করা হয় । পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা  ও মুল্যবোধ  সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে পারিবারিক সম্প্রিতি , শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে  পরিবারকে উন্নয়নের একক হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে  স্বকর্মসংস্থান সৃষ্টিই এ প্রকার ঋণ কর্মসূচির মুল লক্ষ্য ।
কর্মসূচির আওতায় ৫ জন সদস্য নিয়ে ১ট গ্রুপ এবং ৮-১০ টি গ্রুপ নিয়ে ১ টি কেন্দ্র গঠন করা হয়।প্রতি সদস্য ১ম দফায় ৮০০০/ টাকা করে ঋন পায় ৩ সপ্তাহ গ্রেস পিরিয়ড বাদে ৫০ সপ্তাহে এ ঋণ পরিশোধ করতে হয়।পরিশোধের পর ধারাবাহিক ভাবে ৫ ম দফা পর্যন্ত ঋন দেয়া হয় । প্রতি দফায় ঋণের পরিমান ২০০০/ টাকা করতে বৃদ্ধি পায়  অর্থাৎ ৫ম দফায় এক জন ঋন গ্রহিতা ১৬০০০/ টাকা ঋন পায়।যদি ১ টি পরিবারের ৫ জন সদস্য থাকে তবে সে পরিবার ৫ম দফায় ৮০০০০/ টাকা ঋন পায়। সার্ভিস চার্জ ৫% ।
৫ম দফা পরিশোধের পর ১ টি গ্রুপের ১ জন সদস্যকে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদান করা হয়।যার পরিমান ৩০০০০/ টাকা -৫০০০০/ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

যোগাযোগের ঠিকানা ঃ লাকসাম , হোম্ননা , দেবিদ্বার ও মুরাদনগর  উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

যুব সংগঠন তালিকা ভূক্তিকরণঃ

বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন সমূহকে বিভিন্ন অর্মসূচির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্তকরণের দ্বায়িত্ব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পালন করে থাকে।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উন্নয়ন সহযোগী  হিসেবে যুব সংগঠন তালিকাভূক্তি করে।

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালকের কার্যালয়
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , কুমিল্লা।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

যুব সংগঠনকে অনুদান প্রদানঃ

যুব সংগঠন সমূহকে দেশ গঠন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহায়তা  প্রদানের নিমিত্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক যুব কল্যাণ তহাবিল হতে প্রতি বছর অনুদান প্রদান করা হয় ।তা ছাড়া কর্মসূচি সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংগঠন সমূহকে অনুন্নয়ন খাত থেকেও অনুদান দেয়া হয়

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালকের কার্যালয়
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর , কুমিল্লা।

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা।

সার্ক ইয়ূথ এওয়ার্ডদক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যুবদের সৃজনশীল ও অনুকরণীয় যুব কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৭ সাল থেকে ” সার্ক ইয়ূথ এওয়ার্ড” স্কীম চালু করা হয় । বাংলাদেশে এ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- পরিচালকে ( বাস্তবায়ন ) প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

কমুনওয়েলথ ইয়ূথ এওয়ার্ড প্রাদান-

যুব উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান।সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন কর্মকান্ড, আদিবাসী যুবদের উন্নয়ন্মূলক কর্মকান্ড, যুব সংগঠনের মাধ্যমে প্রকল্প ভিত্তিক কমিউনিটি দেভেলপমেন্ট ও স্বনির্ভর কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশী যুব / যুব সংগঠনকে কমনোয়েলথ ইয়ূথ এওয়ার্দ প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- পরিচালকে ( বাস্তবায়ন ) প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

জাতীয় যুব পুরস্কার-

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন পূর্বক  আত্বকর্মসংস্থানে সফলতা অর্জন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে  এবং যাদের সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভুমিকা আছে  সে  সকল যুব /যুব মহিলা প্রকল্প গ্রহন  কারীকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয় ।তা ছাড়া যুব সংগঠক যারা যুব উন্নয়ন কর্মকান্ডে অনন্য অবদান রাখে তাদের মধ্য থেকে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।

যোগাযোগের ঠিকানা- উপ-পরিচালক
উপ-পরিচালক ( জেলা কার্যালয় )।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ।

তথ্য প্রদান-

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সকল প্রকার সেবা কর্মকান্ডের তথ্য  প্রদান করা হয়ে থাকে।

যোগাযোগের ঠিকানাঃ সহকারী পরিচালক , কুমিল্লা জেলা কার্যালয়
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা , উপজেলা কার্যালয় ,কুমিল্লা সকল ।

বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে অভিযোগঃ

সুনির্দিষ্ট অভযোগ দাখিল করা যাবে,
মহাপরিচালক , যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ,১০৮ মতিঝিল বা/এ ঢাকা ।
          অথবা

উপ-পরিচালক,
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
রাম মালা  রোড, ঠাকুর পাড়া,কুমিল্লা।

 

label.column.field_projects

কর্মসূচি সমূহ

রাজস্ব কর্মসূচি :

১। ন্যাশনাল সাভিস কর্মসূচিঃ

২।দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচিঃ

  • ক)পরিবার ভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচি।
  • খ)যুব প্রশিক্ষণ ও আত্বকর্মসংস্থান কর্মসূচি।

৩।কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রঃ

৪।আঞ্চলিক মানব সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্রঃ

৫।সমাপ্ত বেকার যুবদের কারিগরী প্রশিক্ষন প্রকল্প(২য় পর্ব)-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ

৬।সমাপ্ত যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ

৭।সমাপ্ত শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ

৮।সমাপ্ত বগুড়া  আঞ্চলিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ফেণী, রাজশাহী ও সিলেট যুব প্রশিক্ষন
কেন্দ্রের সংস্কার, মেরামত ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) -এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ

৯।সমাপ্ত অবশিষ্ট ৪১টি জেলায় ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড হাউস ওয়্যারিং, ৫৫টি জেলায় ইলেক্ট্রনিক্স, ৫৫টি জেলায় এয়ার কন্ডিশনিং এন্ড রেফ্রিজারেশন প্রশিক্ষণ কোর্স সম্প্রসারণ প্রকল্পঃ

১০।ইনোভেটিভ ম্যানেজমেন্ট অফ রিসোর্সেস ফর পভারটি এলিভিয়েশন থ্রু কপ্রিহেন্সিভ টেকনোলজি ( ইম্প্যাক্ট ) প্রকল্পঃ

চলমান প্রকল্প সমূহঃ

১।অবশিষ্ট ১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পঃ

২।পুরাতন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্পঃ

৩।Youth Empowerment Through Life Skills Education and Livelihood Opportunities :

৪।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুবসংগঠনের মধ্যে কর্মসূচি ভিত্তিক নেটওয়ার্কিং জোড়দারকরণ প্রকল্পঃ

৫।Project on Commonwealth Youth Programme  Technology Empowerment Centre ( CYPTEC ) on wheel’s for disfranchised  Rural Young People of Bangladesh.

১।ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিঃ

বর্তমান সকারের নির্বচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও তদূর্ধব পর্যায়ের শিক্ষায় শিক্ষিত আগ্রহী বেকার যুব/যুব মহিলাদের জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে ২ বছরের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এ কর্মসূচি  প্রাথমিক ভাবে কুড়িগ্রাম , বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।রংপুর বিভাগের অবশিষ্ট ৭ টি জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফমারী,গাইবান্ধ্যা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, ও পঞ্চগড় জেলায় ২০১১-২০১২ অর্থ বছরেই সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব খাতে ২০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় মাধ্যমিক ও তদূর্ধ পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন আগ্রহী বেকার যুবক / যুবমহিলাদের ১০ টি সুনির্দিষ্ট মডিউলে ৩ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পর জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ডে  সম্পৃক্ত করণের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন  সময়ে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ১০০টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা এবং প্রশিক্ষণোত্তর অস্থায়ী  কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার পর দৈনিক ২০০ টাকা হারে কর্মভাতা পাচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাধ্যমিক ও তদূর্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত ২৬,৮৯৭ জন,বরগুনা জেলায় ৯,২৩৩ জন এবং গোপালগঞ্জ জেলায় ১৩,৪১৭ জনকে জুন ২০১১ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় ১৯,১৪৮ জন , বরগুনা জেলায় ৯,২০৩ জন এবং গোপাল্গঞ্জ জেলায় ১২,৯৫৩ জনকে  জাতি গঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হয়েছে।দুই বছর পূর্তির পূর্বে কেউ অন্যত্র চাকরীতে যোগদানের সুযোগ পেলে  কর্মসূচি থেকে অব্যাহতি নিতে পারবে।
কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ যুব উন্নয়ন অদিদপ্তর ন্যাশনাল সার্ভিস সম্পন্নকারী  যুবক /যুবমহিলাদেরকে অভিজ্ঞতার সনদ প্রদান করবে।ন্যাশনাল সার্ভিস সম্পন্নকারী যুবক/যুবমহিলা কর্মকাল সমাপনান্তে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ থাকা সাপেক্ষে যুব উন্নন্যন অধিদপ্তরের ঋণ সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবে। তবে এই নিয়োগ সরকারি চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে না। পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচি দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।

 

যুব প্রশিক্ষণ ও আত্বকর্মসংস্থান কর্মসূচির ঋণ ।

বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী যুব। এ যুব জনগোষ্ঠী যুবকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব।বেকার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে কর্মসংস্থান সে ভাবে বাড়ছে না, সে দিক বিবেচনায় যুবদের আত্বকর্মসংস্থানের বিকল্প নাই। তাই সরকার যুগপযোগী শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ঋণ দানের মাধ্যমে বেকার যুবদের কর্মে নিয়োজিতকরণের জন্য আত্বকর্মসংস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

উদ্দেশ্যঃ

যুবদের উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা।

সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বেকার যুবদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা।

উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুবদের অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বেকার যুব ও যুব মহিলাদের আত্বকর্মসংস্থানে ঋণ প্রদাণ করা।

ঋণ গ্রহিতার যোগ্যতাঃ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হবে।

প্রকল্পটি সম্ভসব্যতা যাচাইয়ে (পরিদর্শন)যোগ্য হতে হবে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটির গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রেড সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

প্রশিক্ষণ শেষে ৩ বছরের মধ্যে ঋণের আবেদন করতে হবে।(নিজস্ব বিনিয়োগে চলমান প্রকল্পের ক্ষেত্রে সময় শিথিল যোগ্য)

গৃহিত প্রকল্পের ২০% কাজ নিজের অর্থে সম্পন্ন করতে হবে।

ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়াঃ

সাদাকাগজে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দিতে হবে।

৭ দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিদর্শনের তারিখ আবেদঙ্কারীকে জানিয়ে দেয়া হবে।

ক্রেডিট সুপারভাইজার পরিদর্শন পূর্বক মতামত ঐ দিন বা তারপর দিন করমকর্তার নিকট পেশ করবেন।

মতামত প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পুনরায় প্রকল্প পরিদর্শন করবেন।

প্রকল্পটি ঋণ প্রদানের যোগ্য হলে আবেদঙ্কারীকে ১০ টাকা মূল্যে এক সেট আবেদন ফরম দেয়া হবে।

আবেদন ফরম যথাযথ পুরন পূর্বক সাথে যা দিতে হবে

১।সদ্য তোলা ৩কপি পাস পোর্ট সাইজ সত্যায়িত ছবি
২।নগরিকত্ব সনদ
৩।প্রশিক্ষণের সনদ
৪।ব্যাং একাউন্ট নং
৫।ঋণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তির মালিকানা সমর্থনে জমির মূল দলিল/দলিলের সার্টিফাইড কপি/হাল নাগাদ পর্চা ও দাখিলা জমা দিতে হবে

৬।প্রকল্পের জমি নিজস্ব না হলে ইজারার চুক্তি পত্র দাখিল করতে হবে ইজারা মেয়াদ কমপক্ষে ৩ বছর হতে হবে
৭।ইজারা চূক্তি বাতিলের আগে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে আলোচনার বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার নামা থাকবে
৮।আবেদন পত্রের সাথে প্রকল্পের বিবরণসহ তথ্যাদি দাখিল করতে হবে।

জামিনদারের যোগ্যতাঃ

ঋণ গ্রহিতার পিতা/মাতা বা নিকট আত্বীয় দের মধ্যে যার নিজস্ব সম্পত্তি আছে যার বর্তমান বাজ্র মুল্য প্রস্তাবিত ঋণের ২ গুন

স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নেই এমন কোন ঋণ গ্রহিতার পিতা /মাতা/নিকট আত্বীয় যদি সরকারী করমচারী হোন তা হলে তার নিয়ন্ত্রঙ্কারী কর্মকর্তার মাধ্যমে ঋঙরহিতার জামিনদার হতে পারবেন।

 

 

 

 

 

 

পরিবারভিত্তিক ঋণঃ ১ম ধাপ ।

সদস্য বাছাই পদ্ধতিঃ

*উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক তাঁর কর্ম এলাকায় আর্থ-সামাজিক জরিপ  সম্পাদন ।
*টার্গেট গ্রুপ নির্ধারণ ।
*চিহ্নিত সদস্যদের সাথে কমপক্ষে ৩ টি উঠান বৈঠক ।
*কর্মসূচির উদ্দেশ্য , নিয়মাবলী ও করণীয় অবহিত করন ।

গ্রুপ সদস্যের যোগ্যতাঃ

*প্রাথমিক জরিপকৃত পরিবারের সদস্য ।
*১৮ থেকে ৪৫ বছরের কর্মক্ষম ( পরিবার প্রধানের বয়স শিথিলযোগ্য) ।
*বার্ষিক আয় ২৫০০০/টাকার কম।
*স্থাবর ,অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২০০০০০/( দুই লাখ )টাকার কম।
*নিম্ন পেশাজীবী অগ্রাধিকার ( জেলে কামার কুমার তাঁতী ইত্যাদি )।
*স্বাক্ষর জ্ঞান থাকা আবশ্যিক।
*নাগরিকত্ব সনদ।

গ্রুপঃ

*রকই পরিবারের বা প্রতিবেশী সহ ৫ জন নিয়ে ১ টি গ্রুপ ।
*প্রত্যেক সদস্য পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধ্যাশীল   ও দ্বায়বদ্ধ থাকবে।
*জরিপ শেষে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রুপ গঠন হবে।
*শুধু মহিলা সদস্য নিয়েও গ্রুপ হবে।
*গ্রুপের এক জন প্রধান থাকবে।
*গ্রুপ সদস্য সাপ্তাহিক সভায় উপস্থিত থাকবেন।
*ঋণ ব্যবহারের নিয়মাবলী , পরিশোধ ও গ্রুপের শৃংখলা বজায় রাখা সদস্যের কর্তুব্য।

গ্রুপ প্রধানঃ

*পরিবার প্রধান বা বয়োজ্যেষ্ঠ আস্থাশীল ব্যক্তি অথবা গ্রুপের মধ্যে নির্বাচিত।

গ্রুপ প্রধানের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

*সদস্যদের জন্য ঋণের সুপারিশ করা।
*গ্রুপে নেতৃত্ব ও পরামর্শ প্রদান।
*ঋণ ব্যবহার ও  পরিশোধ নিশ্চিত করা।
*সদস্যদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় উপস্থিত করা।
*উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের উদ্যোগ গ্রহন করা।
*সমন্বয় করা।

সদস্য পদ শূন্য, ত্যাগ ও বহিস্কারঃ

*মৃত্যু , পদত্যাগ বা বহিস্কারের ফলে সদস্য কমে গেলেও বাকী সদসয দিয়ে গ্রুপ পরিচালিত হবে।
*গ্রুপ, সমাজ, রাষ্ট্র বিরধী বা অনৈতিক কার্যকলাপে বহিস্কার করা হয় আর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা যায়।
*স্বেচ্ছায় পদত্যাগ কারী তাঁর সঞ্চয়ের সুদ সহ ফেরত পায় , বহিস্কৃত সদস্য সুদ ছাড়া সঞ্চয় ফেরত পায়।

 

পরিবার ভিত্তিক ঋণ ২য় ধাপ

কেন্দ্র ও কেন্দ্র সভাঃ

কর্মসূচি ভূক্ত সদস্যদের জন্য কেন্দ্র  হল  দ্বিতীয় স্তরের সংগঠন। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে সকল গ্রুপ সদস্যদের উপস্থিতিতে কেন্র সভা অনুষ্ঠিত হয় । সংশ্লিষ্ট ক্রেডিট সুপার ভাইসার উক্ত কেন্দ্র সভায় উপস্থিত থেকে ঋণ প্রস্তাব প্রণয়ন, ঋণ ব্যবহার তদারকি, কিস্তি ও সঞ্চয় আদায়সহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন্মূলক ক্ররযক্রম মডিউল নিয়ে আলোচনা করবেন ।

কেন্দ্র ও কেন্দ্র গঠনের নিয়মাবলীঃ

১। ৮-১০ টি গ্রুপ নিয়ে একটি কেন্দ্র গঠিত হবে । শুধু মহিলা সদস্য নিয়েও কেন্দ্র গঠন করা যাবে ।
২।কেন্দ্রের সকল সদস্যের মতামত নিয়ে কেন্দ্র সভার স্থান , সময়, ও দিন নির্ধারন করতে হবে ।
৩। কেন্দ্রের সকল সদস্য পরস্পর পরস্পরের ঋণের জন্য দ্বায়বদ্ধ থাকবেন ।
৪। কেন্দ্রকে চলমান  রাখার জন্য কমপক্ষে ২০ জন সদস্য থাকতে হবে ।

  কেন্দ্র প্রধান ও কেন্দ্র সচিবঃ

১। গ্রুপ প্রধান গণ তাঁদের মধ্যে থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ১ জন কেন্দ্র প্রধান ও ১ জন কেন্দ্র সচিব নির্বাচিত করবেন ।
২।কোন কারণে পদ শূন্য হলে পরবর্তী মাসের মধ্যে তা নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে ।

কেন্দ্র প্রধান ও কেন্দ্র সচিবের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যঃ

১। কেন্দ্র সচিবের উদ্যোগে এবং কেন্দ্র প্রধানের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রের সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হবে ।
২। ঋণ প্রস্তাব প্রণয়ন , ঋণের সঠিক ব্যবহার ,ঋণ ও সঞ্চয় জমার ক্ষেত্রে ক্রেডিট সুপারভাইজারকে সহায়তা করবেন ।
৩। অনুপস্থিত সদস্যের বাড়ীতে গিয়ে কিস্তি আদায়ের জন্য হাজির করবেন ।
৪। কেন্দ্র প্রধান  ও  কেন্দ্র সচিব  কেন্দ্রকে সামাজিক সংহতি, অর্থনৈতিক তৎপরতার ভিত্তি হিসেবে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
৫। কেন্দ্র প্রধানের অনুপস্থিতিতে  কেন্দ্র সচিব কেন্দ্রপ্রধানের দ্বায়িত্ব  পালন করবেন ।
৬। কেন্দ্রসচিব কেন্দ্র সভার আলোচ্যসূচি ও গ্রিহিত সিদ্ধান্ত কার্যবিবরণী রেজিষ্টারে সংরক্ষণ করবেন।
৭। কেন্দ্রপ্রধান কেন্দ্রের সার্বিক শৃংখলা নিশ্চিত করবেন।

ঋণ বিতরণে প্রস্তুতিমূলক কার্যাবলীঃ

১। সরকারী  ছাপানো ফরমে গ্রুপের সদস্য   হওয়ার জন্য কেন্দ্র প্রধানের মাধ্যমে লিখিত আবেদন করবেন ।
২। গ্রুপ ও কেন্দ্র গঠনের পর প্রতি সদস্যকে ৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে হয় ।প্রশিক্ষণ ও গ্রুপ/কেন্দ্রের মান যাচাইয়ের পর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গ্রুপ ও কেন্দ্রের স্বীকৃতি প্রদান করবেন।
৩।গ্রুপ ও কেন্দ্র গঠন চূড়ান্ত হলে গ্রহণযোগ্য ও সংগতি পূর্ণ স্কীম/পেশা উল্লেখ পূর্বক ঋণের জন্য আবেদন করবেন। ৫ম দিফা পর্যন্ত ঋণ পরিশোধকারী প্রতি পরিবার থেকে একজন কে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদান করা হবে ।
৪।ঋণ গ্রহণের পূর্বে ঋঙরহিতাকে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে গ্রুপ ভিত্তিক স্কীম/পেশার চূক্তিনামা  সম্পন্ন করতে হবে । তবে এন্টারপ্রাইজ ঋণের ক্ষেত্রে একক চূক্তি নামা করতে হবে ।

                                               উপকারভোগী প্রশিক্ষণঃ

১।প্রতি কেন্দ্রের চাহিদার সাথে সংগতি রেখে সদস্যদের নিয়ে  কেন্দ্র ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
২।ঋণ ব্যবহার , পরিশোধ পদ্ধতি ছাড়াও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট  ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৩। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৫ দিন তবে বাজেট বরাদ্দের আলোকে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কম বেশী হয়।

                                        সঞ্চয়

ঋণ গ্রহণের সময় ঋণ গ্রহিতাকে ৫% গ্রুপ সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখতে হবে ।সাপ্তাহিক সঞ্চয়ের বাবদ প্রতি আসল কিস্তির সাথে ১০ টাকা সঞ্চয় জমা রাখতে হয়।ঋণ পরিশোধের পর ব্যাংকের সঞ্চয় হিসাবে দেয় প্রচলিত সুদ সহ ঋণ গ্রহিতাকে ফেরত প্রদান করা হয় ।

                                      ঋণের পরিমাণঃ

১ বছর মেয়াদী ১ম দফা ঋণের পরিমাণ ৮০০০টাকা সফল ঋণ পরিশোধকারী ২য় দফায় ১০০০০টাকা এ ভাবে ৫ম দফায় এক জন ঋণ গ্রহিতাকে ১৬০০০০টাকা ঋন প্রদাণ করা হয়। ৫ম দফা পরিশোধকারী পরিবারের ১ জন সদস্য এন্টারপ্রাইজ ঋণের যোগ্য যা ৩০০০০টাকা থেকে ৫০০০০০টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

যোগাযোগ

উপপরিচালকের কার্যালয়

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর

প্রাম্তিকা, রামমালা রোড, ঠাকুরপাড়া, কুমিল্লা।

shaikh.shabib@yahoo.com